আজিজুর রহমান রাজু:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
রবিবার (১০ই মার্চ) বিকেল ৪টায় উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ০৯ নাম্বার ওয়ার্ড গজালিয়া গ্রামের মোঃ আরেছ এর বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকাসহ প্রাথমিকভাবে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী মৃত সালেহ আহমদের সন্তান দিনমজুর মোঃ,আরেছ, মোঃ মোবারক,উমর ফারুক,মোঃ ওসমান ও মরিয়ম আক্তারের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। অল্প সময়ে আগুনে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হঠাৎ করে আগুন দেখে চিৎকার শুরু করে উমর এর পরিবার পরিবার,তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়, সংবাদ পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিসও যুব রেড ক্রিসেন্ট ঈদগাঁও উপজেলা টিম ঘটনাস্থলে
গিয়ে ১ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু ততক্ষণে আগুনে সব কিছু পুড়ে ছাই যায়,
এতে ৪ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
এ অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকারসহ গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এসময় খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিঃস্ব পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করেন ঈদগাঁও উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম।
প্রতিবেশী শাহজান বলেন, আমার বাড়ির সামনের দিকে এ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিদুর্গতরা সবকিছু হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
রামু ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুমেন বড়ুয়া জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রামু থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসতে পথে জ্যামে আকটে যায়। যার কারণে একটু সময় বেশি লাগে।
পরে আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিদুর্গতরা নগদ টাকাসহ ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবল চাকমা- এর মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ না করাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply